দিকে দিকে পুলিশের জালে ধরা পড়ছে অবৈধ বাংলাদেশী। দিন কয়েক আগে একটি লিস্ট তৈরি করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে পাঠানো হয়েছিল। এছাড়া, গোটা দেশ জুড়ে একাধিক বাংলাদেশী গ্রেফতার হয়ে চলেছেন প্রায় প্রতিদিন, যারা বেশিরভাগই অবৈধ অনুপ্রবেশকারী। এদিকে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে যখন SIR-এর বিরোধিতার নামে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী মুসলিমদের বাঁচানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠছে।
তবে, স্বাধীনতার দিন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা এক অবিস্মরণীয় ঘটনা ঘটালেন। তিনি অবৈধ বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের নিজের রাজ্য থেকে চিরতরে বিদায় করা শুরু করে দিলেন। সেই মতো ফের ২১ জন অবৈধ বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশে ‘পুশব্যাক’ করা হয়েছে বলে জানালেন হেমন্ত বিশ্বশর্মা এবং নিজের এই কাজকে তিনি “মধ্যরাতের স্বাধীনতা” বলে আখ্যায়িত-ও করেছেন। এদিন ধরা পড়া অবৈধ ওই ব্যক্তিদের ছবি পোস্ট করে আসামের মুখ্যমন্ত্রী তার এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘মধ্যরাতে স্বাধীনতা? আক্ষরিক অর্থেই! আজ মধ্যরাতে, অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ভারতে প্রবেশকারী ২১ জন অবৈধ বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং শ্রীভূমি সীমান্ত থেকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে–যেখানে তারা বাস করে। শনাক্তকরণ এবং পুশব্যাক অব্যাহত থাকবে।’
https://x.com/himantabiswa/status/1956371490716131352
উল্লেখ্য, তার পোস্ট করা ছবিগুলিতে মহিলা ও শিশুর সংখ্যাই বেশি দেখা গেছে। তবে, এই ঘটনা নতুন নয়! প্রায় সপ্তাহ খানেক আগে মুর্শিদাবাদে এক মহিলাকে ঠিক এই কারণেই গ্রেপ্তার করা হয়। এর পর জানা যায়, আরজিনা খাতুন নামের ওই মহিলা আসলে বাংলাদেশে রংপুর জেলার পিরগঞ্জ থানার বাসিন্দা। তিনি প্রায় চার মাস ধরে ইক্রোল গ্রামের সুরজ শেখের বাড়িতে থাকতেন এবং তিনি সুরজের স্ত্রী। শেষ পর্যন্ত নবগ্রাম থানার পুলিশ বাংলাদেশি আরজিনা খাতুনকে গ্রেফতার করে। যদিও বছর দুই আগে সৌদি আরবে কর্মসূত্রে আলাপ হয়েছিল সুরজ ও আরজিনার। এরপর বিয়ে সেরে চলতি বছরের মে মাসে ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে আরজিনাকে ভারতে নিয়ে আসেন সুরজ। তারপর থেকে তারা ইক্রোল গ্রামেই বসবাস করেন। কিন্তু সব কিছু ঠিকঠাক চললেও, সপ্তাহ খানেক আগে পুলিশের কাছে খবর পৌঁছায়, আর তারপরই আরজিনা-কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আপাতত পুরো ঘটনাটির তদন্ত চলছে।