16 অগাস্ট, দুর্নীতির মামলায় সন্দীপ ঘোষকে নোটিশ জারি করে সিবিআই। তবে সেই ঘোষণার পরও তিনি হাজির হননি। তারপরে, সিবিআই দিল্লির বিশেষ অপরাধ শাখার কর্মকর্তারা সন্দীপ ঘোষকে রাস্তা থেকে একটি গাড়িতে তুলে সিজিওতে নিয়ে যান। সেই মুহুর্তে এটি স্পষ্ট ছিল যে তিনি নার্ভাস ছিলেন, তবে সেই ভাবে ভেঙে পড়তে দেখা যায়নি।।
যদিও তিনি ঘন ঘন সিবিআই সদর দফতরে উপস্থিত ছিলেন, এমনকি একটি দিনব্যাপী প্রশ্নোত্তর সেশনেও তিনি কখনও ভেঙে পড়েননি। সকাল 7 টায় সিবিআই টিম যখন তাঁর বাড়িতে পৌঁছায়, প্রাক্তন ডিরেক্টর এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে দরজা খোলেননি। কিন্তু এবার সম্পূর্ণ ভিন্ন লুকে দেখা গেল সন্দীপ ঘোষকে। সোমবার সন্ধ্যায় নিজামের কাছে নিয়ে যাওয়ার সময় সন্দীপ ঘোষ প্রায় ভেঙে পড়েন। সূত্র আরও জানায়, সিজিও অফিসে জিজ্ঞাসাবাদের সময় সন্দীপ কান্নায় ভেঙে পড়েন। পথে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে গাড়িতে মাথা নিচু করে বসে ছিলেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ।
এদিকে সন্দীপকে বের করা হলে নিজামের প্রাসাদের কাছে প্রচণ্ড ভিড় দেখা যায়। সেদিন আশেপাশের সরকারি অফিসের অনেক কর্মচারী নিজামের প্রাসাদের সামনে জড়ো হয়। সন্দীপকে দেখে অনেকেই আবার চোর শ্লোগান দেন। সন্দীপকেও নিজামকে ছেড়ে চলে যেতে দেখা গেছে এবং ক্যামেরা থেকে তার মুখ লুকিয়ে রাখতে দেখা গেছে এমনকি সাংবাদিকরা তাকে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছিল। তিনি কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি। সন্দীপ আজ আদালতে হাজির হওয়ার পরে, সিবিআই তাকে হেফাজতে নিতে চায়। দুর্নীতি মামলার আরও তদন্তের জন্য তাকে হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন সিবিআই তদন্তকারীরা।
সোমবার সন্দীপ ছাড়াও আফসার আলি, সুমন হাজরা এবং বিপ্লব সিং নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আফসার আবার সন্দীপের গার্ড। সুমন ও বিপ্লবের সরবরাহকারী হিসেবেও পরিচিত। দুজনেই সন্দীপের ঘনিষ্ঠ বলে জানা গেছে। তারা অজ্ঞাত কারণে সবচেয়ে বেশি হাসপাতালের টেন্ডার পেয়েছে বলে জানা গেছে। একই সঙ্গে দুর্নীতি হয়েছে। এটা একটা অভিযোগ। এ কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ দিন সন্দীপ ছাড়াও আরও তিনজনকে আদালতে হাজির করা হবে।