বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকদের বৈঠক ব্যর্থ হয়েছে। ফলে সল্টলেক অবস্থান মঞ্চে ফিরে আসেন তারা। তবে তাদের দাবির কোনো সমাধান না হওয়ায় তারা বিকল্প পথ বেছে নেন। তারা অচলাবস্থা নিরসনের জন্য এবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে একটি চিঠি লেখেন।
জানা গেছে, আন্দোলনকারীরা চিঠির কপি শুধু রাষ্ট্রপতিকে নয়, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখর এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও পাঠিয়েছেন। এমনকি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। এই চিঠি পাঠানোর বিষয়ে তরুণ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তারা নবান্নে গিয়েছিলেন তবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাদের যা অভিজ্ঞতা হয়েছে তার ভিত্তিতে এই অচলাবস্থা কাটানোর জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করা খুব প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা।
এদিন চার পৃষ্ঠার চিঠিতে তরুণ চিকিৎসকরা তিলোত্তমা ঘটনার পর থেকে এখনও পর্যন্ত যা ঘটেছে তার সবই বর্ণনা করেছেন। তারা যা বলতে চায় তা হল,
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হলেও রাজ্যের অন্যান্য মেডিকেল কলেজগুলিতে এখনও হামলা হয় ।
সংগঠনের চিকিৎসক নেতা উৎপল ব্যানার্জী বলেছেন: “আমরা এর আগেও রাষ্ট্রপতিকে চিঠিতে পাঠিয়েছিলাম যেখানে এই বিষয়টি দেখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল।” আবারও তরুণ চিকিৎসকরা চিঠি পাঠালেন। অন্যদিকে, আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেছেন: “প্রত্যেকে কেন্দ্র, রাষ্ট্রপতির কাছে যেতে পারেন।” কিন্তু চিকিৎসকদের আন্দোলনের দাবি জনস্বার্থের সঙ্গে যুক্ত তাই এই সমস্যার সমাধান রাজ্য সরকারকেই করতে হবে, তবে রাজ্য সরকারের অযোগ্যতার কারণে এই আন্দোলন বিলম্বিত হচ্ছে।