প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ফের আদালতে গড়াল অনুদানের মামলা। কারণ ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন পুজো উপলক্ষ্যে প্রতিটি ক্লাবকে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে। আর এই অনুসানের বিরোধিতা করেই হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। চলতি সপ্তাহের বুধবার সেই মামলা হাইকোর্টে উঠেছে এবং মামলাকারীর পক্ষ থেকে দাবি, “পুজোর নামে সরকারি কোষাগারের টাকা দান করা যায় না।” অন্যদিকে রাজ্যের দাবি, প্রতি বছর এই একই বিষয়ে মামলা দায়ের হয় এবং পুজো মিটতেই এই মামলার আর কোনো গুরুত্ব থাকে না। যদিও এবারের এই মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন করে সোমবার বিচারপতি সুজয় পালের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন আইনজীবী শামিম আহমেদ।
মামলাকারীর যুক্তি অনুযায়ী, জনসাধারণের তরফ থেকে আসা সরকারি টাকা দিয়ে পুজো অনুদান দেওয়া সাংবিধানিকভাবে প্রশ্ন সাপেক্ষ। এসবের বদলে সরকার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে প্রয়োজন মেটানোর চেষ্টা করে পারে। কিন্তু তা না করে প্রতি বছর কেন এই অনুদানের খাতে অঙ্ক বাড়ানো হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জানা গিয়েছে, এর আগে দুর্গাপুরের বাসিন্দা জনৈক সৌরভ দত্ত দুর্গাপুজোর অনুদান নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন। কীভাবে সরকার জনগণের টাকা ক্লাবগুলোকে পুজোর অনুদান হিসেবে দিতে পারে, সেই প্রশ্নই বারবার তোলেন তিনি।
সূত্রের খবর, আগামী সোমবার ফের মামলাটি নিয়ে শুনানি হবে কলকাতা হাইকোর্টে। আর এর মধ্যেই ফের জোরালো হয়ে উঠেছে প্রশ্ন, “সরকার কি সরকারি কোষাগারের টাকা পুজোর নামে বিলি করতে পারে?” এমনকি, দুর্গা পুজোর মতো বড়ো উৎসবকে কেন্দ্র করে সরকারি সাহায্য কতটা যুক্তিসঙ্গত, তা নিয়েও তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। প্রসঙ্গত, সরকারি অনুদান বিতরণ শুরু হয়েছিল ২০১৮ সাল থেকে। তবে, প্রথম থেকেই এর বৈধতা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, প্রতি বছর কিনু অনুদানের অঙ্ক ক্রমশ বেড়ে চলেছে। আর এবার চলতি বছর সেই টাকার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। যদিও গত বছর চিকিৎসকদের আন্দোলনের আবহে বহু ক্লাব এই অনুদান ফেরত দিয়েছিল। তবে, এবার আর সেরকম কোনো ঘটনা ঘটবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।