Aadhaar card will not prove citizenship!

আধার কার্ডে প্রমাণ হবে না নাগরিকত্ব! তাহলে কোন নথি লাগবে ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে?

১৩ অগাস্ট: আজকের দিনে সকল সরকারি নথির মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ নথি হয়ে উঠেছে আধার কার্ড। যে কোনো সরকারি কাজ থেকে বেসরকারি কাজ সবেতেই প্রয়োজনীয় বিশেষ এই কার্ড। কিন্তু মঙ্গলবার বিহারের SIR নিয়ে দায়ের হওয়া মামলার শুনানিতে অন্য কথা জানাল সুপ্রিম কোর্ট৷ বিচারকদের দাবি, আধার কার্ড এবং ভোটার কার্ড নাগরিকত্বের একমাত্র প্রমাণ নয়৷

না, এই প্রথম নয়, এর আগেও নির্বাচন কমিশনের তরফে আদালতে বলা হয়েছিল, আধার কার্ডকে নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে মনে করার কোনও কারণ নেই ৷ আর এবার সেই একই কথা বলল শীর্ষ আদালতও৷ এদিনের শুনানিতে মামলার অন্যতম আবেদনকারী RJD নেতা মনোজ ঝায়ের তরফে প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিবাল আদালতে বলেন, “আধার থেকে শুরু করে ভোটার এবং রেশন কার্ড থাকলেও সেগুলিকে কমিশনের তরফে বৈধ বলে গ্রহণ করা হচ্ছে না”। পাশাপাশি তিনি এও জানান, বিহারের এমন অনেক বাসিন্দা রয়েছেন যাদের জন্মের শংসাপত্র জোগাড় করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

আর এরপরই বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ বলেন, “বিহারের কারও কাছে কোনও তথ্য নেই বলে যে দাবি করা হচ্ছে তা আদতে সরলীকরণ ছাড়া আর কিছু নয়৷ বিহারে যদি এই ঘটনা ঘটে তাহলে দেশের অন্যান্য জায়গায় কী হবে?” এরপর বিচারপতি মনে করিয়ে দেন, এখন আধারের যে অ্যাক্ট রয়েছে, সেটা অনুযায়ী আধার কার্ড নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়। শুধু মাত্র আধারের উপর ভিত্তি করে ভোটার আইডি কার্ড হয়ে যাবে, এটাও বলা ঠিক নয়। বরং, ১১টি ডকুমেন্ট উল্লেখ করেছে নির্বাচন কমিশন, যেগুলির কোনোটিই থাকলেই ভোটার তালিকায় নাম তোলা সম্ভব।

আর এই মামলার পরই প্রশ্ন উঠছে, আধার কার্ড তৈরি করার আগে যে সকল প্ল্যানিং করা হয়েছিল সেগুলি সব তাহলে ভুল। যদিও এর আগের শুনানিগুলিতে সুপ্রিম কোর্টকে বাকি ডকুমেন্টগুলির মধ্যে, আধারকেও কনসিডার করার কথা বলা হয়েছিল। তবে, তারা আধারকে কনসিডার করছেন, কিন্তু তার সঙ্গে আরও কিছু ডকুমেন্টস দিতে হবে বলেও জানিয়েছেন। এদিকে শুধুমাত্র আধার কার্ডের উপর ভিত্তি করে ভোটার তালিকায় নাম তুলবেন না, এমনটা সাফ জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আর তার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, অনেক জায়গায় ভুয়ো আধার কার্ড তৈরি হয়ে রয়েছে এভাবেই। তবে, এর শেষ রায় কি হয় তা আপাতত সময় সাপেক্ষ হলেও, এখনও জারি থাকবে SIR।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *