Abhoya Tamanna election news

রাজনীতিতে নতুন চমক: ভোটের মাঠে অভয়া-তামান্নার মা?

কলকাতা, ১২ আগস্ট: ফের অভয়ার বিচার চেয়ে কলকাতার পথে নেমেছে মানুষজন। এক বছর পূর্ণ হয়ে গেলেও, আজও মেলেনি সু-বিচার। সেই থেকে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে চলেছেন অভয়ার বাবা-মা। অন্যদিকে, একই অবস্থা আরেক বঙ্গ কন্যা তামান্নার পরিবারের। হ্যাঁ, দুই ভিন্ন গ্রাম, দুই ভিন্ন ঘটনা হলেও যন্ত্রণা একই! এক তরুণী চিকিৎসক অভয়া শিকার হয়েছিলেন এক ভয়াবহ ঘটনার। অন্যদিকে, নদীয়ার কালীগঞ্জের কিশোরী তামান্না-র ভোট-পরবর্তী বিজয় মিছিলের বোমা বিস্ফোরণে জীবন থেমে যায়। আর আজ তাদের দুই মা একসাথে রাজপথে। যারা এই মিছিলে সবথেকে বেশি নজর কেড়েছেন।

তামান্নার মা সাবিনা বিবি ক্ষোভ উগরে বলেন, “অভয়াও বিচার পায়নি, আমার মেয়েও নয়। তাই আমরা একসাথে লড়ছি, সব মায়ের জন্য।” যদিও
তামান্নার মৃত্যুর পর গ্রেপ্তার হয়েছিল ২৪ জন অভিযুক্ত। কিন্তু আজও অনেকেই মুক্ত। অন্যদিকে, অভয়ার মামলা এখনও আদালতের জটিলতায়। দুই পরিবারের অভিযোগ—ন্যায়বিচার বিলম্বিত হচ্ছে, আর তাতে অপরাধীরা সাহস পাচ্ছে। পাশাপাশি অভয়ার মা জানান, এই আন্দোলন ততদিন থামবে না, যতদিন না বিচার মেলে। তার কথায়, “এটা শুধু আমাদের ব্যক্তিগত লড়াই নয়, এটা অন্যায়ের বিরুদ্ধে সামাজিক সংগ্রাম”।

উল্লেখ্য, এদিন কলকাতার রাস্তায় নবান্ন অভিযানের সময় নির্যাতিতার বাবা-মায়ের ওপর লাঠিচার্জ করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। মেডিকা হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে নির্যাতিতার মায়ের। অভিযোগ, তার মাথায় ও পিঠে আঘাত লেগেছে। যদিও এ সকল অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ আধিকারিকের দাবি, নির্যাতিতার বাবা-মায়ের ওপর কোনো লাঠিচার্জ করা হয়নি। বর্তমানে দুই মায়ের হাতে হাত ধরা ছবিটা অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে রাজপথে। না, তাদের এই লড়াই আজ আর শুধু আদালতের চার দেওয়ালে সীমাবদ্ধ নেই; বরং এটা ছড়িয়ে পড়েছে মানুষের হৃদয়ে, গলিপথে, স্লোগানে। তাদের প্রতিজ্ঞা, ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত এই লড়াই থামবে না।

তবে বিশেষজ্ঞ মহলে এহেন ঘটনা দেখার পর প্রশ্ন উঠছে, এই প্রতিবাদ কি আসন্ন নির্বাচনের ফলাফলে প্রভাব ফেলতে চলেছে? অনেকের মতে, বিরোধী দলগুলো যদি এক সাথে এই আন্দোলনের মুখ হয়ে ওঠে তাহলে বর্তমান রাজ্য সরকারের গদি নড়লেও নড়ে যেতে পারে। এমনকি, এটি আগামী নির্বাচনের জন্য বড় বার্তাও হয়ে উঠতে পারে। অর্থাৎ, আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে নতুন এক মোড় আসতে চলেছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল, যেখানে নির্দিষ্ট দলীয় রাজনীতি থেকে বেরিয়ে গণআন্দোলন হয়ে উঠতে পারে ভোটের মূল চাবিকাঠি, সেই সঙ্গে বদল ঘটতে পারে রাজ্য সরকারেরও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *