১৪ অগাস্ট: রাজ্যে বাংলাদেশী নাগরিকের ছয়লাপ কমাতে একের পর এক পন্থা, নিয়ম জারি করে চলেছে সরকার। তবে, অনুপ্রবেশকারীদের কিছুতেই ঠেকানো যাচ্ছে না। এদিকে এসবের মাঝেই উঠে এল চাঞ্চল্যকর এক রিপোর্ট। যেখানে দেখা গিয়েছে, বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে লুকিয়ে ছিল মোট ২১ বাংলাদেশী নাগরিক। এরা দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের একাধিক জায়গায় গোপনে বসবাস করছিল। তাদের মধ্যে নারী, পুরুষ এমনকি শিশু-ও রয়েছে।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে ২১জন বাংলাদেশি নাগরিকের নামের তালিকা পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনস্থ ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস। যাদের সকলের কাছে বাংলাদেশের পাসপোর্ট থাকা সত্বেও, তারা অবৈধ উপায়ে ভারতীয় ভোটার কার্ড জোগাড় করে রেখেছেন। কারোর কারোর আবার আধার কার্ড, প্যান, রেশন কার্ড-ও রয়েছে! এমনকি, এদের অনেকের কাছে ভারতীয় পাসপোর্ট-ও পাওয়া গিয়েছে! অর্থাৎ, দু’ দেশেরই পাসপোর্টধারী এদের কেউ কেউ! জানা গিয়েছে, তালিকায় নাম থাকা ওই ২১ জনের মধ্যে কেউ কেউ বনগাঁ সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে ভারতে ঢুকেছিলেন, আবার কেউ কেউ বাংলাদেশ থেকে মেডিক্যাল ভিসা নিয়ে এপারে চলে এসেছিলেন এবং পরে পরিবারের বাকি সদস্যদের চোরাপথে ভারতে এনেছেন তারা।
জানা গিয়েছে, ২০১৭ সাল থেকে ট্যুরিস্ট ভিসায় ভারতে থাকছিলেন এদের অনেকেই। কেউ কেউ আবার বেহালায় জমিও কিনে ফেলেছিলেন। অনেকের আবার ভারত থেকে বাংলাদেশে ফেরত যেতে গিয়ে কিংবা বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার সময়, অভিবাসন দফতরের কাউন্টারে এই বাংলাদেশি নাগরিকদের কাছ থেকে ভারতীয় নথি উদ্ধার হয়েছে। এর আগে ৫ই অগাস্ট একইভাবে ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস থেকে আরও ৬ জন বাংলাদেশির তালিকা মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের অফিসে পাঠানো হয়েছিল। তার পরই এদের প্রত্যেকের ভারতীয় নথি বাতিল করার জন্য মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে। এ বিষয়ে রাজ্য এবং দেশের রাজনৈতিক মহল মনে করছে, অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং ভূতুড়ে ভোটারের এই ইস্যু আগামী দিনে রাজ্যের নির্বাচনী রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করবে। সে কারণেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে চলমান বিশেষ ইনটেনসিভ রিভিশন তথা SIR কর্মসূচির মধ্যে এই ঘটনা আরও গুরুত্ব পাচ্ছে।