‘SIR-এ বাধা দিলে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে’ স্পষ্ট বার্তা রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য্যের!

নির্বাচনের আগেই ভারতবর্ষের দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়েছে SIR। বহু নেতা-মন্ত্রীরা কার্যত উঠে-পড়ে লেগেছে এটিকে বাস্তবায়িত করতে। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে বিহারে কেস চলছে। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও SIR ঘোষণার পর থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার তা নিয়েই মুখ খুললেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। এদিন তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, SIR সারা দেশেই হবে। আর কেউ বাধা দিতে এলে তা গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।

SIR প্রসঙ্গে এদিন শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “এটা সারা দেশে হওয়ার মতোই প্রক্রিয়া। এর মধ্যে কেউ যদি মৃত্যু ঘণ্টা শুনতে পায়, তাহলে তো আমাদের কিছু করার নেই। বাধা আসলে সেই বাধা গুঁড়িয়ে দিয়ে SIR করা হবে।” সেই সঙ্গে তিনি রাহুল গান্ধির ‘ভোট চুরি’র অভিযোগেরও তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “রাহুল গান্ধির কথা কংগ্রেসের নেতারা গুরুত্ব দেন না আর বাংলার মানুষও অচেতন নয়। তাই সাধারন মানুষ সব জবাব দেবে।” শমীক ভট্টাচার্য এও জানান যে, তিনি নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র নন। তবে, তার কাছে তৃণমূলের কথা পরিষ্কার যে, তারা বাংলাদেশি এবং মৃত ভোটারদের ভোটার তালিকায় রাখতে চায়। কিন্তু ভারত সরকার নির্বাচন কমিশনের নেতৃত্বে সঠিক ও ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা নিয়ে নির্বাচন করবে বলেই দাবি তোলেন তিনি।

যদিও এখন SIR-এর বিরুদ্ধে প্রচার চালাতে ব্যস্ত তৃনমূল কংগ্রেস। রাজ্যের শাসকের দলের একটাই বক্তব্য, SIR করে অনেকের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তাই যেভাবেই হোক এটা করতে দেওয়া যাবে না। এমনকি, এর বিরুদ্ধে তৃণমূলের পক্ষ থেকে আন্দোলন পর্যন্ত গড়ে তোলা হয়েছে। আর এবার তার বিরুদ্ধেই পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। অন্যদিকে, গত রবিবার দিল্লিতে বিহারের ভোটার তালিকা সংশোধন ঘিরে বিতর্কের মধ্যে এক সাংবাদিক বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, বাংলায় কবে থেকে SIR শুরু হবে, তা তারা তিনজন নির্বাচন কমিশনার মিলে উপযুক্ত সময়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। আর তারপরই সময় মতো সেই ঘোষণা করা হবে জনগণের সামনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *