কলকাতা থেকে মুম্বাই, মুম্বাই থেকে কলকাতা দীর্ঘ লড়াইয়ের পর বাংলার এই ছেলে হয়ে উঠে সুপারস্টার । টলিউড থেকে বলিউড তার জনপ্রিয়তা চোখে পড়ার মতো । তাই এবার মিঠুন চক্রবর্তীকে তার 48 বছরের অভিনয় জীবনকে স্বীকৃতি জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই ঘোষণা করেছেন। আর এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুভেচ্ছার বন্যা কলকাতায় শুটিং করতে আসা মিঠুন চক্রবর্তীকে। কিন্তু এই শুভমুহূর্তে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন? উত্তরে না বললেন বলিউডের ডিস্কো ড্যান্সার।
তিনি বলেন, “না। উনি কেন করবেন? আমি তো বিরোধী দল করি”
সাংবাদিক বলেন, “আপনি তো এই রাজ্যের বাঙালি নাগরিক।”
জবাবে মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, “আমার মনে হয়না সেটা উনি অনুভব করেন”
তারপর তিনি আরও বলেন “ফোন করা না করা সেটা উনার বেক্তিগত বেপার আমি ওতে জড়াতে চাই না।”
প্রসঙ্গত, মিঠুন চক্রবর্তী একসময় তৃণমূলের টিকিটে জিতে রাজ্যসভার সদস্য হয়ে ছিলেন। তারপর অবশ্য পদত্যাগ করে একুশের বিধানসভায় পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দল বিজেপিতে যোগ দেন তিনি । আর তারপর থেকেই শুরু হয় মমতার সাথে রাজনৈতিক লড়াই। লোকসভা নির্বাচনেও বঙ্গ বিজেপির টিকিটে দাঁড়ানো প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে নামেন মিঠুন চক্রবর্তী ।
এদিন দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পাওয়ার পর প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রধানমন্ত্রী মোদির। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী একজন অসাধারণ মানুষ। আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সম্মান করি। আমি ওনার সঙ্গে বেশ কয়েকবার দেখাও করেছি।”
অন্যদিকে মিঠুন চক্রবর্তীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তৃনমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। একই সাথে তিনি লিখেছেন,“শুধু অনুরোধ, আপনার পদ্মশ্রীর জন্য প্রয়াত প্রণব মুখোপাধ্যায়ের চিঠি এবং আপনাকে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে মমতাদির স্বীকৃতিদান ভুলে যাবেন না।”