SIR বিতর্ক নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। ভোটের আগেই এর একটা বিহিত চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যেই বিহারের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, আধার কার্ড দেখিয়ে আবারও ভোটার তালিকায় নাম তুলতে পারবেন সেখানের বাসিন্দারা। কিন্তু এমন আবহে উল্টো সুর শোনা গেল অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মার গলায়। বৃহস্পতিবার মন্ত্রীসভার বৈঠকের পর সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আপাতত নতুন করে অসমের প্রাপ্ত বয়স্কদের আধার কার্ড দেওয়া বন্ধ থাকবে। এই উদ্যোগ মূলত বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের ধরতেই নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে হেমন্ত বিশ্বশর্মার সরকার।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘বর্তমানে অসমে অবৈধ বাংলাদেশি নাগরিকে ছেয়ে গিয়েছে। তাই তারা যাতে আধার না পান এবং তা দিয়ে নিজেদের ভারতীয় বলে দাবি না করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতেই এমন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার’। তিনি এও জানান যে, একমাত্র তারাই সে রাজ্য যারা সীমান্ত দিয়ে লাগাতার বাংলাদেশি নাগরিকদের ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছেন। আর এই অনুপ্রবেশকারীদের ঠেকাতেই তারা মূলত এমনটা ব্যবস্থা তৈরি করতে চায়। তাদের মূল উদ্দেশ্য, অসমের বাসিন্দা হয়ে যাতে অন্য কেউ এ দেশে ঢুকে নিজেকে ভারতীয় নাগরিক দাবি না করে এবং আধার কার্ড পেতে না পারে।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, বর্তমানে অসমে ১০২ শতাংশ মানুষের কাছে আধার কার্ড আছো। অর্থাৎ, জনসংখ্যার তুলনায় বেশি মানুষের হাতে কার্ড আছে। আর এতেই বোঝা যাচ্ছে যে, বেশ কিছু বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের হাতেও আধার কার্ড পৌঁছে গিয়েছে। যদিও ইতিমধ্যেই গোটা অসম জুড়ে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে রাজ্যের বিজেপি সরকার। এ বিষয়ে অবশ্য সুর চড়িয়েছে বিরোধী দলের নেতা-মন্ত্রীরা। তাদের পক্ষের অভিযোগ, হেমন্তের সরকার নাকি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে অনেক ভারতীয়কেও বাংলাদেশে পুশব্যাক করছে। এমনকি, ধৃতদের আদালতে না তুলে, তাদের সরাসরি সীমান্তে নিয়ে গিয়ে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আবার অনেকক্ষেত্রে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী তাদের অনুপ্রবেশকারী বলে সে দেশের জেলেও আটকে রাখছে বলে দাবি তুলেছেন কেউ কেউ।