শনিবার থেকে আমরণ অনশন করছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। অনশনের দ্বিতীয় দিনে এবার এগিয়ে এলেন সিনিয়র চিকিৎসকরাও । তারা জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে দাঁড়ানোর এবং অনশনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এই ঘোষণা জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরসের তরফে করা হয়েছে।
এদিন সিনিয়র চিকিৎসকরা ডোরিনা ক্রসিংয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্নাস্থল পরিদর্শন করেন। এবং তাদের সমর্থন করে অনশনে যাওয়ার কথাও বলা হয়। সিনিয়র ডাক্তাররা দ্রুত রিলে অনশনে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানাযাচ্ছে। তবে, এই পরিস্থিতিতে একই মঞ্চে পুলিশ অনশনের অনুমোদন দেবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই ক্ষেত্রে, সিনিয়র ডাক্তারদের বিকল্প অবস্থান বিবেচনা করা উচিত। কবে থেকে এবং কত জন সিনিয়র চিকিৎসক অনশন করবেন রবিবার সন্ধ্যায় এই বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানানো হয়েছিল । জুনিয়র ডাক্তারদের অনুসরণে সিনিয়র ডাক্তাররাও অনশনে যাওয়ার সিদ্ধান্তে হৈচৈ পড়ে যায় ।
আরজি কর কাণ্ডের কারণে ১০টি দাবি নিয়ে আমরণ অনশনে বসেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অনুষ্টুপ মুখার্জি, স্নিগ্ধা হাজরা, তনয়া পাঁজা এবং এসএসকেএম হাসপাতালের অর্ণব মুখার্জি, যাদবপুরের কেপিসি মেডিক্যাল কলেজের সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা এবং এনআরএস মেডিক্যাল কলেজের পুলস্ত্য আচার্য গতকাল থেকে অনশনে রয়েছেন।
শুক্রবার রাজ্য সরকারকে ঘড়ি ধরে ‘সময়সীমা’ দিয়েছিল ধর্না মঞ্চ। শনিবার সেই সময়সীমা শেষ হলে, জুনিয়র চিকিৎসকরা শুরু করেন আমরণ অনশন। আরজি কর কাণ্ডে দশদফা দাবি পূরণ করাই অনশনের মূল উদ্দেশ্য। অনশন মঞ্চে নজরদারি ক্যামেরা বসানো হবে বলেও ঘোষণা করা হয় যাতে এই অনশনের স্বচ্ছতা নিয়ে কোনো সন্দেহ না থাকে।