বিহারে SIR শুরু হতেই গোটা দেশ জুড়ে তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। জীবিত ভোটারদের খুঁজে খুঁজে নতুন করে লিস্ট বানাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সেই সাথে এই বিষয়ে মামলাও চলছে সুপ্রিম কোর্টে। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গেও হুলস্থূল পরে গিয়েছে। শাসক দলের নেতা মন্ত্রীর বারংবার এর বিরোধিতা করে চলেছে। যদিও তার পাল্টা জবাব দিতে ছাড়ছেন না রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা-মন্ত্রীরা। আর এবার ফের পশ্চিমবঙ্গে চিঠি পাঠালো কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। না, শুধু পশ্চিমবঙ্গ সেই চিঠি পায়নি, বরং সব রাজ্যকেই আবারও চিঠি পাঠিয়েছে কমিশন।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৫ই আগস্ট নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। আর এবার প্রতি রাজ্যের সিইও-কে চিঠি পাঠালো কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। যেখানে, আগামী ২৯শে অগস্ট বিকেল ৫টার মধ্যে ERO, AERO ইত্যাদির শূন্যপদের রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিশন। অন্যদিকে শোনা যাচ্ছে, রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে প্রায় ১৪ হাজার নতুন বুথ তৈরি হতে চলেছে। যা নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কী মতামত, সে বিষয়ে বৈঠক করবে মুখ্য নির্বাচনী দফতর। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বৈঠকের পর জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে CEO দফতর তাদের সুপারিশ পাঠাবে। তারপরই শুরু হবে পরবর্তী পর্যায়।
যদিও এ প্রসঙ্গে গত রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের অন্যান্য রাজ্যে কবে থেকে ভোটার তালিকার পরিমার্জন শুরু করতে হবে, তা পরে সঠিক সময়ে ঘোষণা করে দেওয়া হবে। কিন্তু তার আগেই গত ৮ই অগাস্ট পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আইনজীবী গোপাল শঙ্কর নারায়ণ সুপ্রিম কোর্টে SIR সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে প্রশ্ন তোলেন, কি করে চিঠি দিয়ে পশ্চিমবঙ্গকে কমিশন জানিয়ে দিতে পারে রাজ্যে SIR শুরু হতে চলেছে। তার দাবি, রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা না করেই এই প্রক্রিয়া শুরুর দিকে এগোচ্ছে কমিশন। তবে, শেষ পর্যন্ত কমিশন কি পদক্ষেপ নেয়, আর রাজ্য এতে কতটা সহযোগিতা করে তা তো সময়েই দে