প্রকাশ্যে এল সে সকল কারণ……বর্তমানে ভারতের সবথেকে বড়ো উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে পাকিস্তান। সীমান্তে তাদের সন্ত্রাস চালানোর কার্যকলাপ নতুন নয় ভারতের কাছে। আর তার জেরে ইন্ডিয়ার কাছে অনেকবারই মুখ থুবড়ে পড়তে হয়েছে প্রতিবেশী এই দেশকে। আর এবার সেই তালিকায় নাম লেখালো আরেক প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ। যার পরই কিছুটা হলেও প্রধানমন্ত্রী ও নিরাপত্তারক্ষীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ দেখা দিয়েছে। তাই এমন পরিস্থিতিতে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করতে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সূত্রের খবর, সমস্যার সমাধান খুঁজতে এবং তা নিয়ে আলোচনা করতেই কলকাতায় আসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এই বৈঠকে দেশের পূর্বাঞ্চলের সীমান্ত নিয়ে সেনার উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন তিনি। শোনা যাচ্ছে, সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকেই এই বৈঠক আয়োজিত হবে। যেখানে উপস্থিত থাকবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী-সহ দেশের পূর্বাঞ্চলের সেনা কমান্ডরা ও সেনার অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্তারা। তবে, নমো-র এমন সিদ্ধান্তে একটা প্রশ্ন বারবার উঠে আসছে। তা হল,
এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের দাবি, বর্তমানে দেশের সর্ববৃহৎ কমান্ড পূর্বাঞ্চল বা ইস্টার্ন জোন। যার মধ্যে চিকেনস নেক-সহ দীর্ঘ বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে। সেই সাথে রয়েছে চিনের দীর্ঘ সীমানাও। অর্থাৎ, এই এলাকা যে দেশের অন্যান্য জায়গার তুলনায় একটু বেশিই সংবেদনশীল তা গোটা দেশবাসীর কাছে পরিষ্কার। তাই এই সকল বিষয় নিয়ে কলকাতায় আয়োজিত সম্ভাব্য বৈঠকে সেনাকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী মোদী বিশেষ ভাষণ দিতে চলেছেন বলেই জানা গিয়েছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকে সীমান্তে নিরাপত্তা কতটা বর্তমান রয়েছে, আর কতটা প্রয়োজন, কী কী আর্টিলারি মোতায়েন করা প্রয়োজন—সে সব নিয়েই আলোচনা করা হবে।
প্রসঙ্গত, বছর খানেক আগে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশের পরিস্থিতি ধীরে ধীরে খারাপ হতে শুরু করেছিল। সেখানে প্রায়শই দাঙ্গা-হাঙ্গামা লেগেই রয়েছে। এদিকে আবার মায়ানমারে জারি রয়েছে সেনা শাসন। আর এই সব কারণ মিলিয়ে বাংলা-সহ উত্তর-পূর্বের বেশ কিছু অঞ্চল অনুপ্রবেশকারীদের কাছে ট্রানজিট রুট হয়ে উঠেছে। আবার মাথার উপরেই ওঁত পেতে বসে রয়েছে চিন। যদিও বেজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্কের রসায়ন খানিকটা বদলেছে, কিন্তু অরুণাচল প্রদেশের থেকে তাদের নজর ঘোরানো এখনও সম্ভব হয়নি। সুতরাং, এখন সীমান্তকে আরও মজবুত করাই নয়াদিল্লির লক্ষ্য হয়ে উঠেছে। আর সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত করতেই আগামী মাসেই সরাসরি সেনা কমান্ডরদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।