সবাইকে দেওয়া যাবে না দুর্গা পুজোর অনুদান! সাফ জানিয়ে দিল হাইকোর্ট!

গত বছর প্রতি ক্লাব পিছু ৮৫ হাজার টাকা করে দুর্গা পুজোর অনুদান দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১লক্ষ ১০ হাজার টাকা, সেই সঙ্গে ইলেকট্রিক বিলেও বিপুল পরিমাণ ছাড় দেওয়া হয়েছে। আর এই অনুদান ঘোষণা হতেই প্রতি বছরের মতো এ বছরও শুরু হয়েছে জল্পনা। অনুদানের বিরোধিতা করে হাইকোর্টে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দাখিল হয়েছে কেস। অবশেষে এ বিষয়ে রায় দিল হাইকোর্ট! উচ্চ আদালতের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হল, বিশেষ কিছু ক্লাবকে অনুদান দেওয়া যাবে না। আর এরপরই প্রশ্ন উঠেছে, কাদের দেওয়া যাবে না অনুদান?

বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুজয় পাল এবং বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে যে, গত বছর যে সব ক্লাবগুলি পুজোর অনুদানের কোনও হিসেব দেয়নি, তাদের অনুদান দেওয়া যাবে না। তবে, ক্লাবগুলি যদি আগামী এক মাসের মধ্যে গতবারের খরচের হিসেব দিতে পারে, তাহলেই কেবল মাত্র এবারের অনুদান পাবে তারা। যদিও এর আগে গত সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে দুর্গাপুজোর অনুদান নিয়ে মামলার শুনানিতে আদালত স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিল, যারা সরকারি টাকা খরচের হিসেব দেবে না তাদের অনুদান দেওয়া যাতে না হয় সে ব্যাপারটা ভেবে দেখতে হবে। পাশাপাশি এই ব্যাপারে রাজ্য সরকারের কাছে হলফনামাও তলব করা হয়েছিল। আর এদিন তো বিষয়টা একেবারে স্পষ্ট করে দিল উচ্চ আদালত।

এরপরই উচ্চ আদালত-কে রাজ্যের তরফ থেকে জানানো হয়, ২০২৪ সালে কলকাতা পুলিশের এলাকায় ২৮৭৬টি পুজো কমিটিকে অনুদান দেওয়া হয়েছিল এবং তারা প্রত্যেকে হিসেব তথা ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দিয়েছে। এছাড়া, জেলা পুলিশের তরফ থেকে ৪১,৭৯৯টি চেক তৈরি করা হয়েছিল। যদিও সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৪১,৭৯৫ টি পুজো কমিটি এই অনুদান গ্রহণ করেছিল, কিন্তু ৪১,৭৯২ টি পুজো কমিটি শুধু হিসেব দিয়েছে। বাকি তিন ক্লাবের তরফ থেকে টাকার কোনো হিসেব পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রাজ্য, আর সেগুলি শিলিগুড়ি পুলিশের আওতায়। তবে, নির্দিষ্ট ওই তিনটি ক্লাব যদি আগামী এক মাসের মধ্যে হিসেব দিতে পারে, তাহলেই তারা এ বছরের পুজোতেও অনুদান পাবে। নয়তো, তালিকা থেকে বাদ পড়তে হতে পারে তাদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *