অসমে ‘জমি জেহাদ’ রুখতে আরও কঠোর হচ্ছে সরকার। সে রাজ্যে ভিন ধর্মে জমি কেনা-বেচা আর সহজ হবে না। বরং, এমনটা করার আগে সরকারের অনুমতি নেওয়া জরুরি। হ্যাঁ, সম্প্রতি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এমনটাই ঘোষণা করেছেন। তার কথায়, “অসমের মতো সংবেদনশীল রাজ্যে জমির হস্তান্তরের বিষয়টিতে তীক্ষ্ণ নজর রাখা উচিত”। তিনি আরও জানিয়েছেন, যদি ভিনধর্মের কারও কাছে অসমের কোনো বাসিন্দা জমি বিক্রি করতে চান, তাহলে সে বিষয়ে আগে সরকারকে জানাতে হবে। এর পর সরকার গোটা প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখবে।
জানা গিয়েছে, এসবের পাশাপাশি যে জমি কিনবে তার রোজগারের উৎসও খতিয়ে দেখবে সরকার। সেই সঙ্গে খতিয়ে দেখা হবে, ওই জমি বিক্রির ফলে ওই এলাকার সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকবে কিনা। তারপর জেলাশাসক বা জেলাস্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিশনার জমি হস্তান্তর নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। অসম সরকারের তরফে আরও বলা হয়েছে, বিক্রি হওয়া জমির সকল নিরাপত্তা বিবেচনা করে, সবটা খতিয়ে দেখা হবে এবং সব কিছুর স্বচ্ছ ধারণা সরকারের কাছে উঠে এলে, তারপরই সরকার অনুমতি দেবে জমি বিক্রি করার।
এর আগেও হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছিলেন, ‘অসম সরকার জমি জেহাদ এবং লাভ জেহাদ বন্ধ করতে দুটি আইন আনছে। যদি কোনও মুসলিম কোনও হিন্দুর জমি কিনতে চায়, বা কোনও হিন্দু কোনও মুসলিমের জমি কিনতে চায়, তাহলে তাদের আগে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। এমনকি, লাভ জেহাদের জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ড-ও দেওয়া হতে পারে।’ উল্লেখ্য, অসমের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলির জনবিন্যাস রুখতেই মূলত হিমন্ত বিশ্বশর্মার সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অসম সরকারও অনেকটা ঝাড়খণ্ডের ধাঁচে ল্যান্ড জেহাদের মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে চলেছে। আসলে অসমের মতো সীমান্তবর্তী রাজ্যে বে-আইনি অনুপ্রবেশ এবং জনবিন্যাস বদল বাস্তব সমস্যা হয়ে উঠেছে, তাই সেখানে জমি হস্তান্তরে কড়া আইন দরকার বলেই মনে করছে সে রাজ্যের সরকার।