student of RG Kar

RG Kar : ফের আরজি করের তরুণী পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু

এবার আত্মঘাতী আর জি কর হাসপাতালের তরুণী পড়ুয়া। ২০ বছর বয়সি ওই পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয়েছে কামারহাটিতে। সেখানে ESI কোয়ার্টারে নিজের ঘর থেকে দেহ উদ্ধার হয় ওই পড়ুয়ার। মায়ের সঙ্গেই থাকছিলেন তিনি। ওই পড়ুয়ার মা ESI হাসপাতালের চিকিৎসক।
ওই পড়ুয়া আর জি কর হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে MBBS-এর দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছিলেন ওই ছাত্রী। আদতে বিহারের বাসিন্দা তিনি। জানা গিয়েছে, ৩০ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার এই ঘটনা ঘটে। বেশ কয়েক ফোন করলেও ওই তরুণী ফোন ধরেননি। কোয়ার্টারে ফিরে তাই বার বার দরজায় টোকা দেন ওই পড়ুয়ার মা। কোনও সাড়া না পেয়ে ধাক্কা দিতে শুরু করেন দরজা। দরজা খুলতে দেখেন, গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন মেয়ে। চিৎকার শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। তাঁদের সাহায্য়েই গলার ফাঁস খুলে তড়িঘড়ি নামানো হয় ওই তরুণীকে।
তড়িঘড়ি কামারহাটি ESI হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ওই তরুণীকে। সেখানকার ইমারজেন্সি ওয়ার্ডে ঢোকানো হয়। কিন্তু সেখানে ওই তরুণীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এর পর দেহ পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। আপাতত কামারহাটি থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি। পরিবারের তরফে দায়ের করা হয়নি কোনও অভিযোগ। পুলিশের তরফে এ নিয়ে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি যদিও। তবে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ওই তরুণী গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। এর ফলে তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যেরও অবসাদ ঘটে। অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। গোটা ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে পুলিশ।
গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে খবরের শিরোনামে কলকাতার আর জি কর হাসপাতাল। সেখানে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় গোটা দেশে। শিয়ালদা আদালত ধৃত সঞ্জয় রায়কে কারাদণ্ডের সাজা শোনালেও, সেই রায়ে অখুশি পরিবার থেকে আন্দোলনকারীরা। একা সঞ্জয় নয়, একাধিক ব্যক্তি এই ঘটনায় যুক্ত বলে দাবি তাঁদের। পাশাপাশি, তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগও করছেন। সেই নিয়ে টানাপোড়েনের আবহেই এবার জি করের এক পডুয়ার আত্মঘাতী হওয়ার খবর সামনে এল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *